নতুন চুল গজাতে পেয়ারা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
নতুন চুল গজাতে পেয়ারা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই, আমার আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি সকল তথ্য জানতে পারবেন। এখানে নতুন চুল গজাতে কালোজিরার ব্যবহার, নতুন চুল গজাতে মেথির ব্যবহার সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
এখানে শুধুমাত্র নতুন চুল গজাতে পেয়ারা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলা নেই এর পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে মেহেদী পাতার ব্যবহার, নতুন চুল গজাতে নিমপাতার ব্যবহার, নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের ব্যবহার সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ভূমিকা
চুল যখন প্রয়োজনীয় চাহিদার চেয়ে পুষ্টি উপাদান তুলনামূলক কম পায় তখনই দেখা দেয় চুল পড়ার সমস্যা। অনেক সময় বাইরে থেকে চুলের গোড়া মসৃণ দেখালেও প্রকৃতপক্ষে ভেতর থেকে থাকে নরম। চুলের গোড়া নরম হলে চুল পড়তে শুরু করে। মাথায় চুল না থাকলে চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত নিজেদের চুলের যত্ন নেওয়া। ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে চুলের গোড়াকে শক্ত মজবুত করা যায়।
নতুন চুল গজাতে পেয়ারা পাতার ব্যবহার
অকালে চুল পড়ে যাওয়া বর্তমানে একটি কমন সমস্যা। আর এই সমস্যা থেকে আমাদের পরিত্রাণ দিতে পারে পেয়ারা পাতা। পেয়ারা পাতা আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারী। এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে যা মাথার তালু শক্ত রাখতে সহায়তা করে।
পেয়ারা পাতা যেমন চুল ঝরে পড়া রোধ করে তেমনি মাথায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। অকালে চুল পড়া রোধ করতেও পেয়ারা পাতা খুব কার্যকরী। পেয়ারা পাতা চুলকে ঘন ও কালো করে। আজকে আমরা পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি দুইটি হেয়ার প্যাক সম্পর্কে জানব। আশা করি পদ্ধতি দুইটি আপনাদের কাজে আসবে যার ফলে আপনাদের পুরনো চুল পড়া যেমন রোধ হবে তেমনি এর পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করবে।
পদ্ধতি-১
উপকরণ: ৬টি পেয়ারা পাতা;
৪ গ্লাস পানি।
প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে পেয়ারা পাতাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর একটি স্টিলের পাত্রের চার গ্লাস পানি নিতে হবে এবং পানিতে পেয়ারা পাতা গুলো ছেড়ে দিতে হবে। এরপর চুলা জ্বালিয়ে পেয়ারা পাতা মিশ্রিত পানিকে পনেরো মিনিট ভালো করে ফুটাতে হবে। ১৫ মিনিট পর চুলা থেকে মিশ্রণটি নামিয়ে একটি ছাঁকনির সাহায্যে ভালোভাবে ছেকে পানি অন্য একটি পাত্রে আলাদা করে নিতে হবে। এরপর পানিকে ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
ব্যবহারবিধি: মিশ্রণটি ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর তয়লা দিয়ে চুলটা ভালো করে মুছে নিতে হবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে তিন দিন এটি ব্যবহার করতে হবে। আশা করি আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
পদ্ধতি-২
উপকরণ: ৬টা পেয়ারা পাতা;
২টা পেঁয়াজ;
২ চামচ সরিষার তেল;
২ চামচ পানি।
প্রস্তুত প্রণালী: এই হেয়ার প্যাক তৈরি করার জন্য প্রথমে পেয়ারা পাতাগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পেয়ারা পাতা থেকে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে এরপর একটি কেচির সাহায্যে পেয়ারা পাতাগুলোকে ছোট ছোট করে কেটে শিলপাটায় বেটে নিতে হবে। এরপর বাটা পাতা থেকে রস চিপে বের করে নিতে হবে। এরপর দুইটি পেঁয়াজ কেটে বেটে নিতে হবে।
এবার একটি বাটিতে ২ চামচ সরিষার তেল ও ২ চামচ পানি নিতে হবে। এখন আমি সেই অসম্ভব কাজটি সম্ভব করব তেলে আর জলে মিক্স করব। এ কাজটি করতে কোন তাড়াহুড়া করলে হবে না সময় নিয়ে কাজটি সঠিকভাবে করতে হবে। তেল আর পানি মিক্স হওয়ার পর তা ডিমের কুসুমের মতো কালার ধারণ করবে। এবার তেলের মিশ্রণে পেয়ারা পাতা ও পেঁয়াজের মিশ্রণ যোগ করতে হবে।
ব্যবহারবিধি: এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করার পূর্বে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। গোসল করা দুই ঘন্টা পূর্বে পুরো মাথায় চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবেঅ এরপর দুই ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো হবে পরিষ্কার করে নিতে হবেঅ ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে অন্তত দুইদিন এই হেয়ার প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে।
নতুন চুল গজাতে নিমপাতার ব্যবহার
চুলের জন্য নিমপাতা খুবই উপকারী। নিম পাতার অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের চুলের গোড়াকে শক্ত ও মজবুত করে। নিমের পাতা আমাদের চুলের স্ক্যাল্পকে শক্ত করে। যাদের খুশির সমস্যা রয়েছে নিমপাতা তাদের জন্য খুব ভালো। নিমপাতা আমাদের চুলের গোড়াতে যেমন শক্ত ও মজবুত করে তেমনি আমাদের চুলকে কালো ও ঘন করে এবং চুলে থাকা খুশকি দূর করতে খুব ভালো কাজ করে।
নিমপাতার হেয়ার প্যাকটি ব্যবহার করলে আমাদের চুল পড়া যেমন বন্ধ হবে তেমন চুল ঘন ও কালো হবে।নতুন চুল গজাতে নিমপাতার ব্যবহার নিম্নরূপ:
- নিম অয়েল: নিম অয়েল তৈরি করার জন্য কয়েকটি নিমপাতা নিতে হবে এবং নিমপাতাগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে তেল নিয়ে তেলের মধ্যে নিম পাতাগুলোকে দিয়ে কিছুক্ষণ ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। ভালোমতো ফুটানো হয়ে গেলে একটি ছাকনির সাহায্যে নিম পাতাগুলোকে ছেকে তেল থেকে আলাদা করতে হবে। এরপর একটি বোতলের মধ্যে তেলগুলোকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে ।
- কয়েকটি নিম পাতা নিয়ে নিতে হবে এরপর নিমপাতাগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার নিমপাতা কেটে ব্লেন্ডারের মধ্য দিয়ে পেস্ট করে দিতে হবে। টক দইয়ের সাথে এই নিমপাতা কে মিশ্রিত করতে হবে। এই হেয়ার প্যাকটি গোসলের দুই-তিন ঘণ্টা পূর্বে চুলে ভালোভাবে প্রয়োগ করে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে গোসল করে নিন। ভালোভাবে ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহ দুইবার ব্যবহার করতে হবে।
- একটি পাত্রে নিম অয়েল এবং এলোভেরা জেল নিতে হবে। এরপর এটিকে ভালোভাবে মিক্স করে চুলে প্রয়োগ করতে হবে।
- কয়েকটি নিমপাতা নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর একটি স্টিলের পাত্রের কয়েক গ্লাস পানি নিয়ে তার মধ্যে কয়েকটি নিমপাতা ফেলে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে একটি ছাকনির সাহায্যে পানি ছেকে নিতে হবে। এরপর নিমের এই পানিকে চুলের গোড়ায় ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
নতুন চুল গজাতে কালোজিরার ব্যবহার
চুল ছাড়া মাথা চেহারার সৌন্দর্যকে অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। যাদের মাথায় চুল নেই বা অঝোরে প্রতিনিয়ত চুল ঝরে যাচ্ছে তারায় বুঝতে পারে চুল না থাকার কষ্ট। নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে, ঠিকমতো ঘুমালে, পুষ্টিকর খাবার খেলে চুল পড়া কমে যায়। অনেকেই চুল গজানোর জন্য বিভিন্ন কৃত্রিম উপাদান ব্যবহার করে থাকে কিন্তু দিনশেষে সেটি কোন কাজেই আসে না।
আপনার হাতের নাগালে থাকা ঘরোয়া উপাদান কালোজিরা সাহায্যে নতুন চুল গজায় ও চুল পড়া রোধ হয়। কালোজিরা কে যেকোন রোগের মহাঔষধ বলা হয়। কালোজিরা তেলচুলের গোড়া ও ফলিক গুলোকে শক্তিশালী করে। কালোজিরা তেল মাথার ত্বকের শুষ্কতা কমায় ফলে দ্রুত চুল পড়া বন্ধ হয়। নতুন চুল গজাতে কালোজিরার ব্যবহার নিম্নরূপ:
আরও পড়ুন: কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়
কালোজিরার তেল
উপকরণ: ৫০ গ্রাম কালোজিরা;
২৫ গ্রাম মেথি;
এক কাপ নারিকেল তেল;
2 টেবিল চামচ সরিষার তেল;
কিছু ব্রাহ্মীরাজ পাতা;
এক মুঠ নিমপাতা।
প্রস্তুত প্রণালী: একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে কালোজিরা এবং মেথিকে আলাদা করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে এক কাপ নারিকেল তেল ও ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল নিতে হবে। এর মধ্যে এক মুট নিমপাতা, কিছু ব্রাহ্মীরাজপাতা সব একসাথে মিক্স করে চুলায় কিছুক্ষণ ফোটাতে হবে।
এরপর উক্ত মিশ্রণে মেথি ও কালোজিরার গুড়া মিশিয়ে আস্তে আস্তে করে নাড়তে হবে। এই সময় চুলায় হিট লো মিডিয়ামে থাকবে। দুই মিনিট ভালো করে জ্বাল করার পর এটিকে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ছাকনির সাহায্যের সবকিছু থেকে তেল ছেকে আলাদা করে নিতে হবে। এরপর তেলের মধ্যে একটি দারুচিনি দিয়ে আরও ৩০ সেকেন্ড জ্বাল দিতে হবে।
এরপর আর একটি ছকনার সাহায্য দারুচিনি টিকে ছেকে তেল আলাদা করে নিতে হবে। তেল ঠান্ডা হলে একে একটি বোতলের মধ্যে ভরে নিতে হবে। এক বছর এমনি বোতলের মধ্যে রেখে এটাকে সংরক্ষণ করা যায়।
- কালোজিরা তেলের সাথে জলপাই মিশিয়ে তেল বানানো যায়। এটি মাথায় দিলে নতুন চুল গজাতে খুব ভালো কাজ করে।
- একটি ব্লেন্ডারের মধ্যে কিছু মেহেদী পাতা ও কিছু কালিজিয়াকে গুড়া করে দিতে হবে। এরপর কালিজিরা ও মেহেদী গুড়াকে একত্রে মিশ্রিত করে চুলে প্রয়োগ করতে হবে।
- একটি পাত্রের মধ্যে কালোজিরা গুড়া, নারিকেল তেল ও মধু একত্রে মিশ্রিত করে নিতে হবে ।এরপর গরম তয়লা দিয়ে মাথাকে ঢেকে রাখতে হবে।
- কালোজিরা তেলের সাথে লেবুর রস মিশ্রিত করে চুলে লাগাতে হবে। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
নতুন চুল গজাতে মেথির ব্যবহার
মেথি চুল পড়া বন্ধ করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুল দ্রুত গতিতে লম্বা করে, চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে, চুলকে গোড়া থেকে ঘন ও কালো করে তোলে। মেথি দানা স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তার চেয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বেশি উপকারী। মেথিতে প্রচুর পরিমাণে আইরন ও প্রোটিন রয়েছে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও ফলিক এসিড আমাদের চুলে পুষ্টি যুগিয়ে চুল পড়া বন্ধ করে। নতুন চুল গজাতে মেথির ব্যবহার নিম্নরূপ:
- তিন চামচ মেথি ও তিন চামচ কালোজিরা এক গ্লাস পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সকালবেলা কালোজিরা ও মেথি ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। ছেঁকে নেওয়া পানিতে এক চামচ কাস্টার অয়েল বা তেল মিশিয়ে বোতলে ভরে রাখতে হবে। এই পানি হেয়ার সিরাম হিসেবে চুলে ব্যবহার করতে হবে।
নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের ব্যবহার
সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ হল চুল। সম্প্রতি চুল পড়া একটি বড় সমস্যা হয়ে গেছে। বিভিন্ন প্রকার শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করার পরও এটি কমছে না। চুল পড়া বন্ধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রস খুব ভালো কাজ করে। পেয়াজে উচ্চমাত্রার সালফার থাকে যা নতুন চুল গজাতে ও চুল পড়া রোধে সাহায্য করে।
এটি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং এতে থাকা এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল ত্বকের জীবাণু রোধ করে। যাদের অতিরিক্ত চুল পরে পেঁয়াজের রস তাদের জন্য খুব ভালো কাজ করে। নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের ব্যবহার নিম্নরূপ:
- কয়েকটি পেঁয়াজ নিয়ে একে ব্লেন্ডারের মধ্যে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর পেঁয়াজের রস অ্যালোভেরা জেল ও নারিকেল তেল মিশিয়ে একটি হেয়ারপ্যাক তৈরি করতে হবে। গোসলের ৪০ মিনিট পূর্বে হেয়ারপ্যাকটি চুলে প্রয়োগ করতে হবে। এরপর স্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ব্যবহার করতে হবে।
নতুন চুল গজাতে মেহেদির ব্যবহার
মেহেদি পাতা আমাদের চুলের গোড়াকে মজবুত করতে সহায়তা করে। মেহেদিকে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার বলা হয়। এটি খুশকি দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। যাদের প্রতিনিয়ত চুল ঝরে যাচ্ছে, নতুন চুল গজাচ্ছে না এই নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য সবথেকে ভালো হবে মাথায় মেহেদির হেয়ারপ্যাক ব্যবহার করা।
এতে আপনার নতুন চুল যেমন গজাবে তেমনি ভাবে চুল হবে শক্ত। মেহেদির হেয়ার প্যাক চুলকে আরো ঘন ও কালো করে তুলে তাই একে প্রাকৃতিক কমিশনার বলা হয়।নতুন চুল গজাতে মেহেদি পাতার ব্যবহার নিম্নরূপ:
- প্রথমে কতগুলো মেহেদী পাতা নিয়ে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার একটি ব্লেন্ডারের মধ্যে মেহেদী পাতা ও কয়েক টুকরা পেঁয়াজ নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে ব্লেন্ডার থেকে মিশ্রণটি ঢেলে দিতে হবে। এরপর এতে ডিম ও লেবুর রস যোগ করতে হবে। এরপর কে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। গোসল করার দুই ঘন্টা পূর্বে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে অন্তত দুইদিন এই হেয়ারপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।
- প্রথমে কিছু মেহেদি পাতাকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে কিছু মেথি ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একটি ব্লেন্ডার নিয়ে ব্লেন্ডারের মধ্যে মেহেদী পাতা ও ভেজানো মেথি একসাথে পেস্ট করে নিতে হবে। গোসল করার এক ঘন্টা পূর্বে মিশ্রণটিকে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর স্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
লেখক এর মন্তব্য
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি নতুন চুুল গজাতে পেয়ারা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আরো তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। এরকম আরো পোস্ট পেতে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
অভ্রটেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url