তুলসী গাছের শিকড় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উপায় জানুন

তুলসী গাছের শিকড় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই, আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি সকল তথ্য জানতে পারবেন। এখানে তুলসী পাতার ব্যবহার, তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
তুলসী পাতার শিকড় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উপায় জানুন
এখানে শুধুমাত্র তুলসী গাছের শিকড় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উপায় সম্পর্কে লিখা নেই এর পাশাপাশি ত্বকের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার, মধু ও তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসী পাতার প্রকারভেদ, তুলসী পাতার টোনার তৈরির নিয়ম সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ভূমিকা

তুলসী পাতার রয়েছে নানা গুণ। প্রাচীনকাল থেকে ঘরোয়া ঔষধ তৈরিতে এই তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই তুলসী গাছ খুবই শুভ। তারা মনে করে তুলসী গাছে দেবী লক্ষ্মীর বাস রয়েছে। এই তুলসী গাছ আমাদের অনেক উপকারে আসে।

তুলসী গাছের প্রকারভেদ

হিন্দুরা তুলসী গাছকে খুব শুভ মনে করে। দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক মনে করা হয় এই তুলসী গাছকে। হিন্দুরা তাদের বাড়ির উঠোনে তুলসী গাছ লাগিয়ে থাকে এবং সকাল-সন্ধ্যা এই তুলসী গাছের পুজো করে এবং তুলসী গাছের বাতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখে। ভগবান বিষ্ণুর পুজোতে তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয় প্রায়। সব জায়গায় তুলসী গাছ পাওয়া যায়। বনে-জঙ্গলের জায়গায় এই তুলসী গাছ জন্মায়। এই তুলসী গাছের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানা থাকলে আমরা সহজেই এদের চিনতে পারব। তুলসী গাছ সাধারণত ৪ প্রকার। এগুলো হলো-

  • শ্বেত তুলসী: শ্বেত তুলসী এক বর্ষজীবী আবার কখনো কখনো বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি একটি নরম উদ্ভিদ যা বিশ্বব্যাপী রান্নায় ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন স্যুপ তৈরিতে এই শ্বেত তুলসী ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ভগবান বিষ্ণুর পুজোতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এই শ্বেত তুলসী। এই গাছের ফুলের রঙ শ্বেত বা সাদা বলে একে শ্বেত তুলসী বলা হয়।
  • লেবু তুলসী: এই তুলসী গাছের পাতা অনেকটা লেবু গাছের পাতার মতো তাই একে লেবু তুলসী বলা হয়। বাবুই তুলসী ও বন তুলসীর সংকর প্রজাতি হলো লেবু তুলসী। বিভিন্ন খাবারের সুগন্ধি বৃদ্ধি করতে এই লেবু তুলসী ব্যবহার করা হয়। লেবু তুলসীর পাতা বেশ রসালো, এতে পাতি লেবুর মতো সুগন্ধ রয়েছে। এই লেবু তুলসির পাতা বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড় উপশমের দারুন কাজ করে।
  • শ্যামা তুলসী: শ্যামা তুলসীকে কৃষ্ণ তুলসীও বলা হয়। এই গাছের পাতা গাঢ় বেগুনি বর্ণের বা কালচে ধরনের। হিন্দুদের মধ্যে কথিত আছে যে, এই গাছের পাতা কালো বলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে খুব প্রিয় হল এই শ্যামা তুলসী গাছ। এর অনেক ঔষধি গুনও রয়েছে।
  • রাম তুলসী: রাম তুলসী গাছের পাতা সবুজ বর্ণের হয়। এই গাছের পাতা মিষ্টি স্বাদের। ভগবান রামের খুব প্রিয় এই তুলসী গাছ। হিন্দুরা মনে করে, বাড়িতে এই তুলসী গাছ লাগালে ঘরের সমৃদ্ধি উন্নতি বয়ে আনে। এই তুলসী গাছ আমাদের মস্তিষ্ক ও ফুসফুসের রোগের জন্য খুব উপকারী। মাথা ব্যথা, বাত ব্যথা, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি রোগে খুব ভালো কাজ করে। ভিমরুল কামড়ালে আক্রান্ত স্থানে রাম তুলসী পাতা রস ব্যবহার করলে উপশম পাওয়া যায়।

তুলসী গাছের শিকড় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উপায়

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তুলসী গাছ খুবই শুভ। তারা মনে করে তুলসী গাছে দেবী লক্ষীর বাস। তাই তারা তুলসী গাছের পুজো করে। তুলসী গাছ আমাদের জীবনে উন্নতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে। তুলসী গাছের পাতা, মঞ্জরী, এমনকি শিকড় উভয়ই আমাদের জন্য মঙ্গলময়। তুলসী গাছে যেমন দেবী লক্ষী বাস করে তেমনি তুলসী গাছের শিকড়ে বিষ্ণুর বাস রয়েছে। 

কোন ব্যক্তির কোষ্ঠীতে যদি নবগ্রহের দোষ থাকে তাহলে সেই দোষ নিবারণ করার জন্য তাকে তুলসী গাছের শিকড় ধারণ করতে হবে। তবেই সে নবগ্রহের দোষ থেকে মুক্তি পাবে। এটি ব্যক্তিজীবনে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে। বাড়িতে তুলসী গাছ লাগালে আমাদের মানসিক অবসাদ দূর হয়। তুলসী গাছকে শান্তির প্রতীক বলা হয়। 


তুলসীর শিকড়ের মালা ধারণ করা আমাদের জন্য শুভ। এতে আমাদের মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয়। তুলসীর শিকড় আর্থিক সমৃদ্ধি লাভে সহায়তা করে। তুলসী শিকড়কে একটি লাল রঙের কাপড়ে বেঁধে নিজের কাছে রাখলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। শাস্ত্রমতে, পবিত্র গঙ্গাজল দিয়ে তুলসীর শিকড় ধুলে কলহ দূর হয়। 

তুলসী গাছের শিকড় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। কেউ যদি আর্থিক সমস্যায় ভোগে তাহলে সে আর্থিক সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য শুক্রবার রুপোর মাদুলিতে তুলসী শেকড় ভরে ধারণ করতে হবে। অনেক সময় আমরা কোন কাজ করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়। এরকম সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য একটি হলুদ কাপড়ে গঙ্গাজল দিয়ে ধোয়া তুলসির শেকড় মুড়িয়ে নিজের কাছে রেখে দিতে হবেঅ এতে সাফল্য অচিরেই ধরা দিবে।

তুলসী পাতার ব্যবহার

তুলসী পাতার ব্যবহার বহুবিধ। এর অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। মূলত সর্দি-কাশি উপশমে তুলসী পাতার রস খুব ভালো কাজ করে।তুলসী গাছের শিকড় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উপায় রয়েছে। তুলসী পাতার ব্যবহার নিম্নরূপ-

  • পেট খারাপ সারাতে তুলসী পাতা খুব ভালো কাজ করে। তুলসী পাতার সাথে সামান্য জিরে পিষে দিনে ২-৩ বার খেলে পেট খারাপ থেকে উপশম পাওয়া যায়;
  • সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তুলসি পাতার রস, আদার রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেতে হবে;
  • অনেকের মুখে ব্রাশ করার পরও দুর্গন্ধ করে। ৩-৪ তুলসী পাতা চিবালে মুখে দুর্গন্ধ দূর হয়;
  • ক্ষতস্থান দ্রুত সারানোর জন্য তুলসী পাতা ও ফিটকিরি একসাথে পিষে ক্ষতস্থানে লাগালে আরাম পাওয়া যায়;
  • আগুনে শরীরের কোন স্থান পুড়ে গেলে তুলসী পাতার রসের সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে জ্বালাভাব কমবে, পোড়া স্থান দ্রুত ভালো হয়ে যাবে এবং কোন দাগ থাকবে না;
  • মুখের ব্রণ দূর করার জন্য তুলসী পাতার রস ব্যবহার করা হয়;
  • চর্মরোগ হলে দুর্বাসের সাথে তুলসী পাতা বেটে মাখলে উপকার পাওয়া যায়;
  • বমি বমি ভাব লাগলে ও মাথা ঘুরলে তুলসী পাতা রসের সাথে গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে হবে;
  • তুলসী পাতা ভেজানো পানি দিয়ে চোখ তুলে চোখের সমস্যা দূর হয়;
  • স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে তুলসী পাতা খুব ভালো কাজ করে।

মধু ও তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

সর্দি-কাশি উপশম এ তুলসী পাতা ও মধু খুব ভালো কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ৩-৪ তুলসী পাতা রস ও মধু এক সাথে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তুলসী ও মধুতে পুষ্টি ও ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। ঠান্ডা লাগলে আমাদের শরীর বিভিন্ন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে তুলসী পাতার রস ও মধু খেলে উপকার পাওয়া যায়।

এলার্জি সমস্যা দূরীকরণে তুলসীর রস ও মধুর মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে।নএতে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অকালবার্ধক্য কমায়। তুলসী ও মধুর মিশ্রণ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায় ফলে হৃদপিণ্ড ভালো থাকে। এটি দেহের রক্ত সঞ্চালন কে বৃদ্ধি করে। কিডনি থেকে দূষিত বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে তুলসী মধুর মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে।

তুলসী পাতার টোনার

তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন; যা আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এই উপকারী পাতা দিয়ে আমরা টোনার তৈরি করতে পারি যা আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। টোনার তৈরি করতে নিম্নোক্ত উপাদান গুলো প্রয়োজন-

  • তুলসী পাতা;
  • গোলাপ জল;
  • গ্লিসারিন।
পদ্ধতি: প্রথমে একটি পাত্রে জল নিতে হবে। এরপর কয়েকটি তুলসী পাতা ভালোভাবে ধুয়ে পানিতে দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। একটি ছাকনা দিয়ে থেকে পানি আলাদা করে নিতে হবে। এরপর এতে অল্প পরিমাণ গোলাপ জল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে মেশানো হলে এয়ার টাইট পাত্রে টোনারটি সংরক্ষণ করতে হবে।

টোনার লাগানোর আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। মুখে টোনার লাগানোর পর ভালোমতো শুকিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে মশ্চারাইজার দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।

ত্বকের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার

পিম্পল মেয়েদের কাছে একটি ভয়ানক বিষয়। মুখে পিম্পল উঠলে মেয়েরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তুলসী পাতার সঙ্গে চন্দন বা নিম পাতা বেটে এরসাথে একটু গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগালে মুখের গোল গোল লাল লাল পিম্পল দূর হয়ে যায়। পিম্পল হলে অনেক সময় দাগ থেকে যায়। এই দাগ দূর করার জন্য তুলসীর সাথে বেসনের মিশ্রণ মুখে লাগাতে হবে। 


মুখে ছোপ ছোপ দাগ হলে তুলসী পাতা রসের সাথে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ফেলুন এতে মুখের ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে্ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে তুলসী খুব ভালো কাজ করে। দুধে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড দুধের গুড়ার সাথে তুলসির রস মুখে লাগালে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 

শীতকালে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এই সময় টক দই ও তুলসী রস মুখে লাগালে ত্বকের শুষ্ক ভাব অনেকটা কমে যায় ফলে ত্বক কোমল ও নমনীয় হয়।

তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

তুলসী পাতার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি আমাদের দেহের জীবাণুর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা করে তোলে। এছাড়া তুলসী গাছের শিকড় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উপায় জেনে আমরা উপকৃত হতে পারি । তুলসি পাতার উপকারিতা নিম্নরূপ-

  • ক্যান্সার একটি মরণঘাতী ব্যাধি। তুলসীপাতা এই অসুখকে আমাদের থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। টিউমার কোষকে মেরে ফেলতে সহায়তাকারী রেডিও প্রটেকটিভ উপাদান যা তুলসী পাতায় থাকে;
  • সর্দি-কাশি উপশম এ তুলসী পাতা খুব ভালো কাজ করে;
  • গলা ব্যথা কমাতে তুলসী ও মধুর রস পান করুন;
  • এটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় করে তোলে;
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে তুলসী পাতা;
  • ইনসুলিন উৎপাদনে সহায়তা করে ফলে রক্তে গ্লকোজ লেভেল কম থাকে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়।
তুলসী পাতা খাওয়া যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়ার অপকারিতা নিম্নরূপ-

  • গর্ভবতী মহিলাদের তুলসী পাতা না খাওয়াই ভালো। এতে শরীরে নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়;
  • তুলসী পাতা আমাদের শরীরের রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি করে। ফলে রক্ত জমাট বাঁধায় প্রবণতা নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা দেখা দেয়। সার্জারি করলে সার্জারির দুই সপ্তাহ আগে থেকে তুলসী পাতা খাওয়া বন্ধ করতে হবে;
  • যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের তুলসী পাতা না খাওয়াই ভালো কারণ তুলসী পাতায় পটাশিয়াম থাকে।

লেখক এর মন্তব্য

এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থেকে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি তুলসী গাছের শিকড় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আরও তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। এরকম আরো পোস্ট পেতে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অভ্রটেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url