চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা

চিয়া সিড (Chia seed) বা চিয়া বীজ মরুভূমিতে জন্মানো সালভিয়া হিসপানিয়া (Salvia Hispanica) উদ্ভিদের বীজ। এই অতি উপকারি বীজটির আদি জন্মস্থান সেন্ট্রাল আমেরিকা এবং সেখানকার প্রাচীন আদিবাসি অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায় এই বীজ অন্তর্ভুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে কমতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। চিয়া বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। জলে ভিজিয়ে চিয়া বীজ খেলে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হয় এবং ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। এর পাশাপাশি চিয়া বীজ রূপচর্চায় ব্যবহার করলেও ত্বকের জেল্লা বাড়বে।

নিয়মিত ভাবে চিয়া সিড খেতে পারলে ওজন কমে। দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া ‍সিড ও ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানিতে সাধারণ তাপমাএায় ভিজিয়ে রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রোজকার ডায়েটে চিয়া সিডস রাখতে। আদতে মেক্সিকান পুদিনা গ্রুপের অর্ন্তগত হল চিয়া সিড। চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।

শিশুদের জন্য ডেইলি ২/১ চা চামচ ( বয়স ভেদে )আর বড়দের জন্য ২/১ টেবিল চামচ যথেষ্ট।জরিপে বলা হয়, ৫ বছর বয়সে বাচ্চাদের মেধার ৯৫% বিকাশ ঘটে। তাই এ বাড়ন্ত বয়সে বাচ্চার শারিরীক ও মানসিক সুষ্ঠ বিকাশের জন্য দরকার বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাবার। চিয়া সিডের নিজস্ব ফ্লেবার বা গন্ধ নেই। চিয়া তে এন্টি-অক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩, ক্যালশিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ মিনারেলস রয়েছে।

চিয়া বীজ বেশি খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা হতে পারে। কারণ চিয়া বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই অল্প পরিমাণে চিয়া সেবন করতে হবে। যদি চিয়া বীজ গ্রহণ করে এক ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এটি সেবন করা বন্ধ করতে হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অভ্রটেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url