রোজায় স্বাস্থ্য সচেতনতা
শুরু হয়ে গিয়েছে পবিএ রমজান মাস। এই পবিএ রমজান মাসে আমরা ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা সিয়াম পালন করে থাকি । দেখা যায় রমজান মাসে সারাদিন আমাদের শরীরে একটা ক্লান্তিবোধ থাকে । দিনশেষে আমরা কি খাব, সেহরিতে কি খাব, ইফতারে কি খাব এটা কিন্তু অনেকেই চিন্তা করি । সেহরি এবং ইফতারে বিভিন্ন ধরণের খাবারের অসামঞ্জ্যতার কারণে আমাদের শারীরিক বিভিন্ন ধরণের সমস্যার তৈরি হয় ।
রমজান মাসে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে যাতে শরীরের সুস্থতা বজায় থাকে। যেহুতু রমজান মাস তারউপর হচ্ছে গরম এই সময় ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা রোজা রাখার পরে আমাদের শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়। এই পানিশূন্যতার ঘাটতি পূরণের জন্য প্রথমে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে আমাদের সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত যে সময়টা থাকবে এই সময়টাতে ১০-১২ গ্লাস পানি কমপক্ষে পান করতে হবে । ইফতারের মেনুতে প্রথমে মাথায় রাখবেন আমরা যখন ইফতার শুরু করব অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে শুরু করার জন্য । যেহুতু ইফতারে খেজুর খাওয়া সুন্নাত তাই ইফতার মেনুতে দুইটা খেজুর রাখুন সাথে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি । এরসাথে হালকা কিছু ফলমূল থাকতে পারে ।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেহুতু বেশি খেতে হয় তাই আমরা একটি ডিম সিদ্ধ, কলা ইফতারের মেনুতে খেতে পারি । সাথে পুষ্টিকর একটু হেলদি স্যুপ তৈরি করে নিতে পারেন চিকেন স্যুপ হতে পারে, কর্ন স্যুপ হতে পারে এবং একটু ছোলা সিদ্ধও খেতে পারেন । এগুলো কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো সাথে অবশ্যই থাকতে হবে ইয়োগার্ট । অনেক সময় ফলের সাথে ইয়োগার্ট মিশিয়েও খেতে পারেন এতে আমাদের শরীরের হজমের ক্রিয়াটা কিন্তু খুব ভালো থাকে । এরপরে আপনি যখন ইফতার করবেন তারপর অনেকেই দেখা যায় সরাসরি গিয়ে সেহরি খেয়ে নেন। এটি না করে অবশ্যই রাতের খাবার খেতে হবে। দেখা যায় আমরা তারাবির নামায পড়ে এসে যদি আমাদের রাতের খাবারটা খেয়ে ফেলি তাহলে আমাদের শারীরিক সুস্থতা কিন্তু বজায় থাকে ।
রাতের খাবার না খেয়ে ইফতারের পর সরাসরি সেহরি করে নিলে আমাদের শরীরে খাবারের ঘাটটিতা পূরণ হয়না । তাই রাতে অল্প পরিমাণ ভাত বা রুটি সাথে শাকসবজি এবং মাছ বা মাংস খেয়ে নিতে পারেন এবং অবশ্যই পানি খেতে ভুলবেন না ।মনে রাখবেন ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত একবারে না হলেও আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পরপর অবশ্যই একগ্লাস করে পানি পান করবেন এবং সেহরিতে খুব অল্প পরিমাণ খান । যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা চাইলে হালকা শাকসবজি একটু প্রোটিন খেতে পারেন । আর যাদের ওজন নিয়ে কোন সমস্যা নেই তারা চাইলে হালকা একটু রুটি বা ওটস বা ভাত খেয়ে নিতে পারেন অবশ্যই সাথে রাখবেন সালাদ, সবজি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ।
এভাবেই যদি ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত খাবার মেনুটা সাজান এবং প্রতিদিন যদি হালকা ব্যায়াম ও হাটার অভ্যাস চালু রাখেন অবশ্যই রোজাতে আপনার শরীর থাকবে সুস্থ ।
অভ্রটেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url